বাংলাদেশ হচ্ছে একটি ইতিহাস ও ঐতিহ্যের একটি স্বাধীন দেশ। এই দেশের বিভিন্ন জেলার নানান খাবারের সাথেও ঐতিহ্য যেন মিশে আছে। তেমনি আমাদের দেশের রুপালি সম্পদ হচ্ছে এই ‘ইলিশ’। চাঁদপুরের ইলিশ এর শুনলেই তো জিভে জল এসে যায়। ইলিশ ঐতিহ্যের ধারক চাঁদপুর জেলা এখন ‘ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর’ তথা ‘সিটি অব হিলশা’ নামে পরিচিতি পাচ্ছে। চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার কৃতী সন্তান দেশবরেণ্য চিত্রশিল্পী হাশেম খানের হাতে গড়া ‘ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর’ নামে লোগো-টি চাঁদপুর জেলার ব্র্যান্ডিং লোগো হিসেবে অনুমোদন দিয়েছেন সরকার।
চাঁদপুর জেলায় মোট ৮-টি উপজেলা রয়েছে। এই ৮-টি উপজেলার মধ্যে পরিচিত খাবারের জন্য বিখ্যাত রয়েছে কয়েকটি উপজেলা।
ফরিদগঞ্জ উপজেলাঃ এই উপজেলায় রয়েছে চাঁদপুরের সবচেয়ে পরিচিত একটি মিষ্টির দোকান। যার নাম " আউয়াল সুইটস" এই মিষ্টির সুখ্যাতি শুধু চাঁদপুর জেলায়ই নয়, জেলার বাহরে দেশের অনেকের কাছেই পরিচিত এই "ফরিদগঞ্জ এর হাজী আউয়ালের মিষ্টি"।
মতলব দঃউপজেলাঃ এই উপজেলায় রয়েছে দেশ এ দেশের বাহিরে পরিচিত একটি বিখ্যাত মুখরোচক খাবার, যার নাম "ক্ষীর"। মতলব দঃ উপজেলায় এই ক্ষীরর সুনাম আধীকাল থেকেই এখান থেকেই উৎপন্ন হয় এই মুখরোচক খাবার-টি। যা মতলব দঃ মূল বাজারের অরিজিনাল ক্ষীরের দোকানের নাম হচ্ছে- "আদি গান্ধী ঘোষ"। মুলত এই ঘোষ বংশের অনেকেই এখন এই ব্যাবসার সাথে জড়িত আছে।
হাইমচর উপজেলাঃ চাঁদপুরের সবচেয়ে ছোট উপজেলা হচ্ছে হাইমচর। এই উপজেলা আয়তনের দিক থেকে ছোট হলেও এখানের অধীকাংশ মানুষ মাছ ধরে ও কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। এই উপজেলা "পান ও সুপারি" এর জন্য বিখ্যাত। এই দু'টিকে এই উপজেলার অর্থকারী ফসল বলা হয়, যা ১২ মাসেই কম-বেশি উৎপাদন হয়। তবে পান বছরের সবসময়েই পাওয়া যায়।
এ উপজেলার দঃআলগী, গন্ডামারা, কৃষ্ণপুর ও বাজাপ্তি গ্রামে পান চাষ হয় সবচেয়ে বেশি। যারা পান চাষ করেন তাদের মধ্যে অনেকেরই ব্যবসায়ীকভাবে সুপারি বাগান আছে। আবার কেউ-কেউ শখের বশে বাড়িতে সুপারির বাগান করেছে ফেলেছেন। পুরো উপজেলায় পানের বরজ আর সুপারির বাগান। অর্থকরী ফসল দু’টি এই এলাকার মানুষের অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে এনেছে।
0 মন্তব্যসমূহ